ফতুল্লায় এক নারী শ্রমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কারখানার মালিক সালামের বিরুদ্ধে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঐ নারী শ্রমিককে মোবাইল চার্জার চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়েছে কেএসএস এমব্রয়ডারি ট্রেড এর মালিক সালাম।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমির (ছদ্মনাম) মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সালামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সেহাচর তক্কার মাঠ এলাকার ফকির চাঁন জামে মসজিদ সংলগ্ন কেএসএস এমব্রয়ডারি ট্রেড এর কারখানার অফিস রুমের ভিতরে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কেএসএস এমব্রয়ডারি ট্রেডে সুতা কাটা কাজ করেন শাহনাজ বেগম ও তার ১৫ বছরের মেয়ে সুমি (ছদ্মনাম) প্রতিদিনের ন্যায় কাজে যান তারা। দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য মেয়েকে ফ্যাক্টরিতে রেখে বাসায় যায় মা শাহনাজ বেগম। এর কিছুক্ষণ পরেই ফ্যাক্টরির মালিক সালাম সুমিকে রেখে অন্যান্য শ্রমিকদের দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য ছুটি দিয়ে দিয়। পরে সবাইকে বিদায় করে দিয়ে সুমিকে অফিসে রুমে ডেকে নিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কুপ্রস্তাব দেয় ফ্যাক্টরির মালিক সালাম।

এ সময় সুমি তার কুপ্রস্তাব রাজি না হলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেয় সালাম, এতেও রাজি হয়নি কিশোরী শ্রমিক কোন প্রকার রাজি না হওয়াতে মোবাইলের চার্জার চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখায় সালাম। এক পর্যায়ে তার ইজ্জত বাঁচানোর জন্য সালামের পায়ে ধরে চিৎকার করতে থাকে ঐ অসহায় নারী শ্রমিক। এক সময় ফ্যাক্টরি লোকজন চলে আসলে শেষ রক্ষা পায় সুমি, পরে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায় ফ্যাক্টরির মালিক সালাম।

এ বিষয়ে সালামের মুঠোফোনে ফোন কল জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগটি করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি তাকে কোন কুপ্রস্তাব দেইনি। পা ধরে বসে বসে থাকার বিষয় জানতে চাইলে সালাম বলেন আমার পা ধরে বসেছিল এটা সত্য। কিন্তু অন্য একটি ঘটনার কারণে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তাকে তার প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।