উজ্জীবিত বাংলাদেশ:- বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া ও তার পুত্র বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে মহিলার জমি দখলের চেষ্টা, মারধর করার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে।
জানা যায়,বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রসন্ননগর গ্রামের তাসলিমা বেগম ও তার স্বামী পিয়ার আলী ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। আফাজউদ্দিন ভূইয়া ও তার পুত্র মহিউদ্দিনের শেল্টারে তাসলিমা ও তার স্বামীর জমি দখলের পায়তারা করে একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বক্তাবলী লঞ্চ ঘাটে আফাজউদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে স্বামী- স্ত্রীকে মারধর করে আফাজউদ্দিন ভূইয়া ও তারপুত্র মহিউদ্দিন ও তাদের সহযোগীরা।
আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে পিতা – পুত্রের অপকর্মে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও নেতাকর্মীরা জানান,আফাজ কন্ট্রাক্টর এর আগে বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন আওলাদের জমি দখল করে নিজের নামে মার্কেট নির্মান করেছে।
ডায়েরীতে আফাজ কন্ট্রাক্টরের সহযোগী প্রসন্ননগর গ্রামের লিয়াকত,ইমরান,জহির ও ওসমানকে আসামী করা হয়েছে।
এএসআই আজিমউদ্দিনকে ডায়েরীর তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে তাসলিমা বেগম থানা জিডি করেছিল। তখন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ভূমিদস্যু আফাজউদ্দিন,তারপুত্র মহিউদ্দিন,লিয়াকত,ইমরান,জহির ও ওসমান বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরা ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আজিম হোসেন জানান,কোর্টে মামলা চলমান আছে। কোর্ট যেই রায় দিবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম আজ আবার যাবো।
অভিযুক্ত বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া মুঠোফোনে জানান,আমি মারধর করিনাই। মহিলা আমার নামে মিছা কথা বলতাছে। তাই আমি আগামীকাল (শুক্রবার) মহিলার নামে বিচার ডাকছি এবং আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।