শার্শায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে দূর্ণীতি তদন্তে দুদক কর্মকর্তাদের সাড়াশী অভিযান
মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-যশোর জেলার
শার্শা উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে অনিয়ম-দূর্নীতির তদন্তে যশোর জেলা দূর্ণীতি দমন কমিশন(দুদক) কর্মকর্তাদের সাড়াশী অভিযান।
রবিবার(১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দুর্ণীতি তদন্তে যশোর জেলা দুদক অফিস থেকে সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দীনসহ মোট ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে আসেন। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষৎকার গ্রহন করেন তারা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম শরিফ ও অফিস সহকারী সাইদুর রহমান এবং ম্যাকানিক রনি হোসেন আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে শার্শা উপজেলার ৩৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে আদায় করে, টিউবওয়েল না দিয়ে তারা টাকা আত্মসাথ করে। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে অভিযুক্তদেরকে একযোগে অন্যত্র বদলি করা হয়। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহন করা নগদ টাকার কি হবে, সে বিষয়ে কোন সমাধান দিতে পারেনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অভিযোগকারীরা পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের স্মরণাপন্ন হলে,অত্র উপজেলার ১০ নং ইউপি চেয়ারম্যান- কবির উদ্দীন আহম্মেদ তোতা, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান- মফিজুর রহমান, ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান- আসাদুজ্জামান মুকুল ও বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান- বজলুর রহমান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে যান। সেখানে,৩৩৭ জনের কাছ থেকে ঐ দপ্তরের যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে তাদের সমুদ্য় টাকা ফেরৎ প্রদানের তাগিদ দেন।
চেয়ারম্যানদের চাপের মুখে ঐ দপ্তরের বর্তমান কর্মকর্তা মৌসুমী হালদার গত ১৭/০৮/২০২৩ তারিখে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে কোন গ্রাহককে ৫ হাজার,কাউকে ৬ হাজার আবার কাউকে ৮ হাজার টাকা হারে মোট ৬৬ জন কে টাকা ফেরৎ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন পরে সাংবাদিকদের জানান, এ দপ্তরের কর্মকর্তার যোগসাজসে অনিয়ম-দূর্ণীতির কারনে ক্ষতি গ্রস্থ সেলিম রেজার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে আসি, অভিযোগ সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। অনিয়ম এবং দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দুদক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।