সাদ্দাম হোসেন শুভ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ৬ মাস পূর্বে দীর্ঘদিনের প্রেমের ফসল হিসেবে উভয় পরিবারের সম্মোহিত ক্রমে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হওয়ার পরথেকেই ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে তালাক দেওয়ার হুমকি ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৭ জুন) বিকাল ৪ টার সময় ফতুল্লার লালপুর এলাকার গেসু মিয়ার বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লালপুর এলাকার গেসু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাহাবুব মৃধার মেয়ে সুমা (১৯) বাদি হয়ে লালপুর গেসু মিয়ার বাড়ীর অপারাপর ভাড়াটিয়া, জব্বার মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৬), মৃত হান্নানের ছেলে সুজন (৪০), সুজনের স্ত্রী রিনা (৩০), জব্বার মিয়ার আরো দুই ছেলে রুহুল আমিন (৩৫), নুর জামাল (৪০), জব্বর মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া (৬০),উপরোক্ত উল্লেখিতদের আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ছয়মাস পূর্বে প্রেম-ভালবাসার সুত্র ধরিয়া উভয় পরিবারের সম্মোহিত ক্রমে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় তাদের। হঠাৎ বিবাহর কিছুদিন অতিবাহিত হলে আমার কাছে অযুক্তিক ভাবে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে আমাকে প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় আমার সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে পিত্রালয় থেকে তাদের ৩০ হাজার টাকা এনে দেয়। তাতেও থেমে থাকেননি আমার স্বামীর নির্যাতন।আমার দেওয়া টাকা খরচ করে এবং আমার ঘরে থাকা সকল স্বর্ণ অলংকার বিক্রি করেও শান’ত হয়নি তারা। তাদের দাবীকৃত যৌতুকের টাকার জন্য তাহাদের গ্রামের বাড়ীতে এবং আমার বর্তমান ঠিকানার বাসায় আসিয়া এযাবৎকাল আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বিগত ছয়মাস নির্যাতন করেও তারা ক্ষান্ত থাকেনি, পূর্ণরায় সোমবার (১৭ জুন) আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন একত্রীত হয়ে আমার কাছে তাহাদের দাবীকৃত যৌতূকের টাকা চয়। আমি টাকা কোথায় পাবো মর্মে জানালে উক্ত বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদীরা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং আমাকে সহ আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন দাবীকৃত যৌতূকের টাকার জন্য যে কোন সময় আমারসহ পরিবারের সদস্যদের যে কোন মিথ্যা মামলা এবং বড় ধরনেে ক্ষতি করতে পারে উক্ত বিবাদীরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।