আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: না বলে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় অপরাধে স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে (৩৫) হত্যার উদ্দেশ্য স্বামী মাহাতাব ও তার সহযোগীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে ২৭টি আঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোররাতে আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। গৃহবধুর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্বজন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের মাহতাব হাওলাদারের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী শাহনাজ বেগম গত মঙ্গলবার স্বামীকে না বলে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বামী মাহতাব।
বুধবার গভীর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা, মুখমন্ডল, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২৭টি কোপ দেয়। পরে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে স্বামী মাহতাব পালিয়ে যায়।
স্ত্রীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী ও খবর পেয়ে তার স্বজনরা ছুটে এসে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রী শাহনাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ওই সময় ঘাতক স্বামী মাহাতাবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আহত স্ত্রী শাহনাজের মামা নাসির হাওলাদার বলেন, আমার ভাগ্নি তার স্বামীকে না বলে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মাহতাব ও তার সহযোগীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ভাগ্নি শাহনাজকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা, মুখমন্ডল, হাত, দা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২৭ টি কোপ দিয়ে ফেলে রাখে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক মুঠোফোনে বলেন, ওই নারীর মাথা, মুখমন্ডল, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে স্বামী মাহাতাবকে আটক করা হয়েছে।